eMouza Bangladesh

ডিজিটাল মৌজা ম্যাপের মাধ্যমে সহজ ভূমি ব্যবস্থাপনা

বাংলাদেশে জমি মাপার জন্য ডিজিটাল মৌজা ম্যাপ ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। ইমৌজা.কম আপনাকে সরবরাহ করে সহজ, নির্ভুল, ও সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জমির মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করার সুযোগ ।

এখন ই-মৌজা https://emouza.com থেকে বাংলাদেশ এর যেকোনো মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করা যাবে।

ভূমি জরিপ প্রক্রিয়া: জরিপ কার্যক্রমের বিভিন্ন স্তর।

ভূমি জরিপ প্রক্রিয়াটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া যা ভূমির মালিকানা ও ব্যবহার সংক্রান্ত সঠিক তথ্য সংরক্ষণে সহায়তা করে। বিশেষ করে বাংলাদেশে, ডিজিটাল মৌজা ম্যাপ এবং জমি পরিমাপ সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনা আরও সহজ এবং সঠিক হয়ে উঠেছে। এখানে আমরা ভূমি জরিপ প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

১। ভূমি জরিপের প্রাথমিক প্রস্তুতি

১৯৫০ সনের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৪(১) ধারা এবং বঙ্গীয় জরিপ আইনের ৩ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক ৫ ও ৭ ধারার নোটিশ প্রদান করা হয়। জরিপ শুরুর পূর্বে মাইকিং, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি এবং ব্যাপক জনসংযোগ করা হয়। ভূমি মালিকগণকে তাদের জমির সীমানা চিহ্নিত করতে এবং সমস্ত দলিলপত্র হালনাগাদ অবস্থায় প্রস্তুত রাখতে বলা হয়।

২। ট্রাভার্স

মৌজার নতুন নকশা প্রস্ত্তত করতে মৌজায় যে কাঠামো স্থাপন করা হয় সেটাই ট্রাভার্স। পি-৭০ সিটের মাধ্যমে মৌজার নতুন নকশা প্রস্ত্তত করা হয়। যদি পুরোনো নকশার উপর জরিপ করা হয়, তাহলে ট্রাভার্স করা হয় না। একজন সার্ভেয়ারের নেতৃত্বে একটি দল এই কাজটি সম্পন্ন করে।

৩। কিস্তোয়ার

এই স্তরে আমিন দল প্রতি খন্ড জমির পরিমাপ করে তা মৌজার নকশায় প্রতিফলিত করে। নতুন নকশা অংকনের মাধ্যমে কিস্তোয়ার সম্পন্ন হয় বা পুরোনো নকশা সংশোধন করা হয়।

৪। খানাপুরী

কিস্তোয়ার স্তরে অঙ্কিত নকশার প্রত্যেকটি দাগের জমিতে উপস্থিত হয়ে আমিন দল জমির দাগ নম্বর প্রদান করেন এবং মালিকের রেকর্ড, দলিলপত্র ও দখল যাচাই করে তথ্য খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করেন। ভূমি মালিকগণ আমিন দলকে জমির মালিকানা ও দখল সংক্রান্ত প্রমাণাদি উপস্থাপন করেন।

৫। বুঝারত

এই স্তরে জমির মালিককে খতিয়ান বা পর্চা সরবরাহ করা হয়। পর্চা বিতরণের তারিখ নোটিশ বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার এবং মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানানো হয়। ভূমি মালিকগণ পর্চার সঠিকতা যাচাই করে সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আমিনের কাছে জমা দেন।

৬। খানাপুরী ও বুঝারত

যখন কোন মৌজা ট্রাভার্স এবং কিস্তোয়ারের মাধ্যমে ব্লু-প্রিন্ট সীটে জরিপ করা হয়, তখন উপরে বর্ণিত খানাপুরী ও বুঝারত স্তরের কাজ একসাথে করা হয়।

৭। তসদিক বা এটাস্টেশন

ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে তসদিক স্তরের কাজ সম্পাদিত হয়। কানুনগো বা রাজস্ব অফিসার জমির মালিকানা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র যাচাই করে প্রতিটি খতিয়ান সত্যায়ন করেন। ভূমি মালিকগণ প্রয়োজন মনে করলে বিবাদ দাখিল করতে পারেন এবং উপযুক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করে সংশোধনের সুযোগ নিতে পারেন।

৮। খসড়া প্রকাশনা (ডিপি) ও আপত্তি দায়ের

তসদিকের পর জমির প্রণীত রেকর্ড ৩০ দিনের জন্য সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। ভূমি মালিকগণ নিজ নিজ পর্চাসহ খসড়া প্রকাশনা ক্যাম্পে উপস্থিত হন এবং প্রয়োজনে নির্দিষ্ট ফরম পূরণের মাধ্যমে আপত্তি দায়ের করেন।

৯। আপত্তি শুনানী

ডিপি চলাকালে গৃহীত আপত্তি মামলাসমূহ নির্দিষ্ট তারিখে শুনানী গ্রহণ করে নিস্পত্তি করা হয়। পক্ষগণ নিজে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে দাবি উপস্থাপন করতে পারেন। আপত্তি অফিসার রায় প্রদান করে খতিয়ান বা রেকর্ডে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনেন।

১০। আপীল শুনানী

আপত্তির রায়ে সংক্ষুদ্ধ পক্ষ আপীল দায়ের করতে পারেন। নির্ধারিত কোর্ট ফি দিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসার বরাবর আবেদন দাখিল করে আপীল নিস্পত্তি করা হয়।

১১। চূড়ান্ত যাচাই

আপিল শুনানী সমাপ্তির পর মৌজার খতিয়ান ও নকশা চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং খতিয়ানের ফেয়ার কপি সীট প্রস্তুত করা হয়।

১২। চূড়ান্ত প্রকাশনা

খতিয়ান ও নকশা মুদ্রণের পর রেকর্ডের চূড়ান্ত প্রকাশনা দেওয়া হয়। নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে মুদ্রিত খতিয়ান ও নক্সা সংগ্রহ করা যায়।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমির সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং ডিজিটাল মৌজা ম্যাপের মাধ্যমে জমি পরিমাপ ও ব্যবস্থাপনা সহজতর হয়। Mouza map Bangladesh, Mouza map online, Mouza map download, digital mouza map, land measurement, land survey Bangladesh, mouza sheet number search, mouza plot details, jomir noksha download, jomir map download ইত্যাদি সেবাসমূহের জন্য আমাদের সফটওয়্যার ও পরিষেবা অত্যন্ত কার্যকর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top